২০২০ সালের একটি নাশকতা মামলায় কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজতের তাণ্ডবের পর প্রায় আট বছরে মামুনুলের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা হয়েছে বলে ডিএমপি সদরদফতর সূত্রে জানা গেছে।
 
 
রোববার (১৮ এপ্রি) বেলা ১টার দিকে তাকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
গ্রেপ্তারের পর মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে তাকে নজরদারিতে রেখেছিলো, পাশাপাশি ২০২০ সালে মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর-নাশকতার মামলা তদন্ত করা হচ্ছিল। তদন্তে ওই ঘটনায় সুস্পষ্ট সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
 
ডিএমপি সদরদফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানাতেই হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুলের হকের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে। ১৬টি মামলার মধ্যে ১৫টিই হয়েছে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর।
 
 
উল্লেখ্য, গতবছরের নভেম্বরে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করে আলোচনায় আসেন মামুনুল হক।
এরপর ভাস্কর্যের নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে ডিসেম্বরে কুষ্টিয়া শহরে জাতির পিতার একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের ভাঙচুর চালানো হয়।
 
ভাস্কর্য বিরোধিতা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে।
 
চলতি বছর মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের বিরোধিতায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চালায় হেফাজত।
 
এরমধ্যে সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে ঢাকায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় সংঘাত-নাশকতার ঘটনায় মামুনুল হকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।